আরো বেশি আত্মাদেরকে জয় করার এটি বিশ্বাসীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ
আমাদের সুসমাচারের ক্ষেত্র ঘরের পাশেই। আপনার এলাকার লোকদের সাথে সংযুক্ত হওয়া, আনন্দ ভাগাভাগি করা ও প্রার্থনা করার সুযোগ কাজে না লাগিয়ে কোন অবস্থাতে বড়দিনটাকে অতিবাহিত হতে দেবেন না। প্রশ্ন করতে পারেন ‘কিভাবে তা করবো?’
এটিই একমাত্র উৎসব যা সারাবিশ্বে একসাথে সবচাইতে বৃহত আকারে উৎযাপন করা হয়ে থাকে, শুধুমাত্র উপহার বিনিময় আর নিজেদের আনন্দ-ফূর্তির জন্য নয় কিন্তু মানব বেশে যীশুর আগমন ও আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা প্রকাশকে স্বরণ করার জন্য। অনেকে এই সময়ে তাদের জীবনের জন্য আশা, শান্তি এবং উদ্দেশ্যের অনুসন্ধানে করে থাকে, আর বড়দিনই ভালো সময় যখন আমরা তাদের সাথে খ্রীষ্টের ভালোবাসা শেয়ার করতে পারি।
এই বড়দিনে অন্তত ৮টি উপায়ে অন্যদের প্রতি আপনি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেনঃ
- বড়দিনের এই উৎসব মুখর সময়ে আন্তরিক প্রার্থনা চালিয়ে যাওয়া।
বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও যে সব আত্মিয়-স্বজনেরা এখনো প্রভুকে ব্যক্তিগত ভাবে জানে না তাদের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রার্থনা করা দরকার। প্রভুকে বলুন যেন তিনি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জীবনে অর্থপূর্ণ আলোচনার করার সুযোগ সৃষ্টি করেন, তাদের অন্তরে পবিত্র আত্মা চেতনা দেন এবং বাক্যরুপ বীজ যখন সেখানে বপন করা হবে তখন তা ফলদায়ক হয়ে উঠে।
এমনকি এমন একটি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রার্থনা চালিয়ে যেতে পারেন যারা এখনও যীশুকে জানে না
- বন্ধু-বান্ধবী, প্রতিবেশীদেরকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানানো
প্রতিবেশি বা বন্ধুর বাড়িতে বড়দিনের শুভেচ্ছা হিসাবে কেক (পিঠা-পায়েস) পাঠাতে পারেন যেন তা তাদের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি করে, এবং হয়তো তা সুসমাচারের পথ উন্মুক্ত করতেও পারে।
- যীশুর বিষয়ে কোন একটি বই পড়ুন
এই সময়ে যীশুর বিষয়ে আপনার অন্তর যেন আরো বেশি উৎতপ্ত হয়, ও আরো গভীর ভাবে তাঁকে জানতে পারেন যে জন্য বই পড়ুন। আপনি চাইলে লূক লিখিত সুসমাচারের মোট ২৪টি অধ্যায়ের এক একদিন এক একটি অধ্যায় পড়ে ফেলতে পারেন। এমন কি আপনি আপনার মন্ডলীর বিশ্বাস ভাই-বোনদেরকেও একই চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন।
- ঘরে স্থানীয় বন্ধুবান্ধব বা প্রতিবেশিদেরকে নিয়ে চা-চক্রের আয়োজন করতে পারেন
যখন চায়ের আমন্ত্রণে সবাই উপস্থিত হবে তখন বড়দিন উপলক্ষে যীশুর জীবনের উপর নির্মিত কোন ভিডিও দেখতে পারেন। আর চা খেতে সে বিষয়ে আলাপ- আলোচনা করারও সুযোগ তৈরি হতে পারে।
- ধন্যবাদ জ্ঞাপন
যারা বছর যারা আপনার পরিচর্যা করেছেন, বা আপনি এমন কোন পরিচর্যাকারী বা পালককে চেনেন তাদেরকে ধন্যবাদের নোট পাঠান, উৎসাহ দিন এবং সম্ভব হলে একটি ভালোবাসার উপহার পাঠান।
- মণ্ডলীতে বা এলাকায় আয়োজিত বড়দিনের যে কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ
আপনার মণ্ডলী বা এলাকায় বড়দিন বিষয়ে আয়োজিত যে কোন অনুষ্টানে আপনার অবিশ্বাসী পরিজন, বন্ধু বা প্রতিবেশিকে আমন্ত্রণ জানান। প্রয়োজনে তাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। সেখানে তারা বড়দিনের প্রকৃত তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং অনেক ভুল ধারণাও হয়তো সহজে প্রশমিত হবে।
- সামাজিক মাধ্যমে কারো সাথে যুক্ত হোন
বড়দিনের সম্পর্কে অনেক মানুষই সঠিক তথ্য জানে না, তাই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে যীশুর জীবনের উপর নির্মিত কোন ভিডিও (প্রচার) বা তথ্য চিত্র শেয়ার করুন যেন তা অনেক লোকের কাছে পৌছায় এবং হয়তো এটি শক্তিশালী ভাবে প্রভু কারো না কারো অন্তরে সাড়া দেবেন। কেউ যদি আপনাকে সাড়া দেয় তবে তাকে উৎসাহিত করুন ও তার সাথে যোগাযোগ করুন এবং প্রার্থনা করতে থাকুন।
- শীতবস্ত্র বিতরণ
যেহেতু বড়দিন পুরোপুরি শীতের মধ্যে, তাই কয়েকজনে মিলে দুস্থ মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ, সম্ভব হলে খাবারও দিতে পারেন না, এটিই ভালোবাসা বিলিয়ে দেবার শ্রেষ্ঠ সময়, যখন ঈশ্বর আমাদেরকে ভালোবেসে যীশুকে আমাদের জন্য দিয়েছেন।
লেখকঃ ফ্রান্সিস কিশোর